মােঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গােকর্ণ ইউনিয়নের পাঠানিশা গ্রামের প্রায় ২ শত বছরের প্রাচীন পুকুরের পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করায় ভারী বর্ষণের কারণে উঠানে গিয়ে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কয়েকটি পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। তাছাড়াও জলাবদ্ধতার কারণে ব্যাপক ফসলহানীর ঘটনা ঘটেছে। সরজমিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র। এই বিষয়ে গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক লােক মিলে জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ পেতে ১৮ জুন ২০২০ নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এক লিখিত অভিযােগ দাখিল করেন।
অভিযােগ সূত্রে জানা গেছে, পাঠানিশা মৌজার প্রায় ৫ একর জায়গার উপর নির্মিত ২ শত বছরের পুরাতন পুকুরের পানি নিষ্কাশনের সরকারি নালার উপর কালভার্ট থাকলেও গ্রামের দুস মাহমুদ খানের ছেলে জাহাম খান, মিজান খান, মােনায়েম খান, লিটন মাস্টার, মােবারক ডাক্তার, কুমুদ বন্ধু রায় ও মােশারফ মিয়া মিলে রাতের আধারে ড্রেজার দিয়ে মাটি ফেলে নালাটি বন্ধ করে দেয়। এতে অতিরিক্ত পানি জমে ইদন মিয়ার ছেলে মফিজ মিয়া, ফারুক মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া সহ তিনটি পরিবারের ঘর দরজা পানির নীচে তলিয়ে যায়। বর্তমানে তারা জলাবদ্ধতার কারণে নিজ বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। তাছাড়াও পুকুরের চার পাড়ের অনেক ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন ফসলের বীজ বাগান এবং ফুল-ফলাদির গাছ। এর ফলে পানিতে দূর্গন্ধের কারণে আশপাশের লােকজন বসবাস করতে পারছে না।
এ বিষয়ে জাহাম খানের সাথে যােগাযােগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের মালিকানা জায়গা আমরা ভরাট করেছি। ভােক্তভােগী দানা মাস্টার, বসু মিয়া, নরেশ দত্ত, যােতিশ দেব, হরি চন্দ্র দেব সহ সকল অভিযােগকারীরা জানান, প্রায় ২ শত বছরের পুরাতন নালাটি তারা জােরপূর্বক মাটি ফেলে ভরাট করার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য ভুক্তভােগীরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষপ কামনা করছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply